বাগেরহাটের কচুয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জেরে ফেরদাউস শেখ (১৮) নামের এক তরুণকে কলার ভেতরে লুকিয়ে সুই খাওয়ানোর অভিযোগ উঠেছে। খাদ্য নালীতে সুই নিয়ে গত ২২ দিন ধরে ওই তরুণ খুলনা শহরের সাউথজোন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন আছেন।

বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে ভুক্তভোগী তরুণের স্বজনদের সঙ্গে কথা হলে তারা এই অভিযোগ করেন।

এদিকে ওই ঘটনায় ফেরদাউসের চাচাতো ভাই নিজাম শেখ কচুয়া থানায় ২৩ নভেম্বর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

চিকিৎসাধীন ফেরদাউস কচুয়া উপজেলার সোনাকুড় গ্রামের জামাল শেখের ছেলে।

নিজাম শেখ বলেন, জমিজমা নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে ১৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় ফেরদাউসকে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে যায় প্রতিবেশী এশারাত শেখ, বাদশা শেখ, মোস্তফা শেখ ও হাবিব শেখ। তারা ফেরদাউসকে মারধর করে। এক পর্যায়ে পাকা কলার ভেতরে সুই ঢুকিয়ে তারা জোর করে ফেরদাউসকে খাইয়ে দেয়। এ সময় ফেরদাউসের চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে অভিযুক্তরা তাকে ছেড়ে দেয়।

পরে গুরুতর অবস্থায় ফেরদাউসকে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসক ফেরদাউসকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন।
খুলনা মেডিক্যাল কলেজ, খালিশপুর ক্লিনিকসহ বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে ৮ ডিসেম্বর ফেরদাউসকে খুলনা শহরের সাউথজোন ক্লিনিকে অপারেশন করানো হয়। এখনও ফেরদাউস সুস্থ্য হয়নি। চিকিৎসকরা বলেছেন তিন মাস পরে আবারও একটি অপারেশন করা লাগবে।

ফেরদাউসের আরেক চাচাতো ভাই ইব্রাহিম শেখ বলেন, খুব কষ্ট করে ভাইয়ের চিকিৎসা করাচ্ছি। যার ফলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের ক্ষেত্রেও পিছিয়ে রয়েছি।

মোবাইলে অভিযুক্ত এশারাত শেখ বলেন, ‘ফেরদাউসের সঙ্গে আমাদের জমিজমা সংক্রান্ত শত্রুতা রয়েছে। তবে সুই খাওয়ানোর ঘটনায় আমরা জড়িত নয়।’

কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ফেরদাউসের পরিবার আমাদের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। সত্যতা পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।